তীব্র ব্যথা না কমা পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বিছানায় মুয়ে পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন ।
(প্রয়োজন হলে আরো ৪৮ ঘন্টা নির্দেশমতো)
সব সময় মেরুদন্ড সোজা করে বসার অভ্যাস করবেন। দীর্ঘ সময় মেরুদন্ড বাঁকা করে
সামনের দিকে ঝুঁকে কোন কাজ করবে না।
শক্ত বিছানায় (যেমন- খাটের উপর একটা পাতলা তোষক) ঘুমাবেন।
বেশি গদিযুক্ত নরম বিছানায় শোয়া নিষেধ।
বিছানা থেকে উঠার সময় একদিকে কাত হয়ে হাতের উপর ভর দিয়ে আস্তে আস্তে উঠবেন
নীচু হয়ে কোন ভারী জিনিস তুলবেন না। মেঝে থেকে কোন জিসিন তোলার সময়
সোজা হয়ে বসে তুলবেন।
অনেকক্ষণ একই আসনে বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে ঘোরাফেরা করবেন।
একটানা দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি করবেন না/দৌড়াবেন না ।
চেয়ারে বসার সময় এক উরুর উপর আরেক উরু আড়াআড়ি ভাবে বসবেন।
বসার সময় হাঁটুর উচ্চতা কোমরের উপর থাকবে।
পিঁড়া, মোড়া ইত্যাদিতে বসা নিষেধ ।
রান্না ঘরের কাজ-কর্ম (যেমন- রান্না করা, তরকারি কোটা, বাসন মাজা
ঘর মোছা ইত্যাদি) দাঁড়িয়ে অভ্যাস করবেন । কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিবে
চেয়ার টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া করবেন এবং নামাজ পড়বেন ।
টয়লেটে কমোড/চেয়ার কমোড ব্যবহার করবেন ।
শরীরের ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করবেন।
মাথার উপরে, কাঁধে বা কোমরে ভারী বোঝা বহন করবেন না
তেল. ঘি ইত্যাদি দিয়ে মালিশ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
হাঁট ভাঁজ করে বসে ঘর ঝাঁড়- দেওয়া বা ঘর মোছা থেকে বিরত থাকবেন ।
সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় ধীরে ধীরে উঠবেন যাতে মেরুদন্ড বাঁকা না হয় ।
যানবাহনে ভ্রমণ করার সময় সামনের দিকের সীটে বসবেন যাতে ঝাঁকুনি কম লাগে ।
শাওয়ার (ঝরনা)-এর নীচে দাঁড়িয়ে অথবা সোঁজা হয়ে বসে গোসল করবেন।
নির্দেশমত লাম্বোস্যাক্রাল করসেট বেল্ট ব্যবহার করবেন ।
শেখানো মেরুদন্ডের ব্যায়াম সঠিকভাবে নিয়মিত পালন করবেন ।