ইদানিং স্কুল কলেজ পড়ূয়া ছেলেমেয়েদের বিদেশী বিড়াল কুকুর পালনের প্রতি অতি উৎসাহিত দেখা যাচ্ছে,

ইদানিং স্কুল কলেজ পড়ূয়া ছেলেমেয়েদের বিদেশী বিড়াল কুকুর পালনের প্রতি অতি উৎসাহিত দেখা যাচ্ছে,

Zoonatic নামক Group Of infection Diseases বা রোগ আছে যেটা গৃহপালিত পশু পাখির মাধ্যমে Transmission হয়।

যেমন কুকুরের মাধ্যমে Rabies

বিড়ালের মাধ্যমে Cat-scratch Disease

ব্রয়লার মুরগির মাধ্যমে Bird flu

গৃহ পালিত পশুর মাধ্যমে Anthrax

তাছাড়াও অনেকেই বিড়াল বিছানায় নিয়ে ঘুমায়,বিড়ালের লোমকূপ শ্বাসনালি দিয়ে প্রবেশ করে ফুসফুসের প্রদাহ তৈরি করতে পারে। তাদের

ডাস্ট এ্যালার্জি হতে পারে।

ঘটনা ১ঃ বিসিপিএসের পরীক্ষার কোচিং জন্য ঢাকায় শিফট হয়েছি ৩/৪ মাসের জন্য । কয়েকজন ভার্সিটির ছাত্র ও তিনজন চিকিৎসক মিলে একটা এ্যাপ্রাটমেন্ট থাকা শুরু করি।

পরিক্ষা ও কোচিং পড়াশোনার চাপের জন্য কখন রাত্রি ও দিন হয় বলত পারি না।

কিন্তু ভার্সিটি পড়ুয়ারা স্টুডেন্ট রা কখন ঘুমায় কখন পড়াশোনা করে কিছুই দেখা যায় না।

সারারাত বিড়ালের সাথে বিভিন্ন অপকর্ম ও বিড়াল পরিচর্যা করতে থাকে।

ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলের গার্লফ্রেন্ডের আদেশ বিড়াল লালন পালন শিখতে।একদিন

ঢাকার অদূরে থেকে বিড়াল প্রেমীর বাবা এসেছে ছেলেকে দেখতে।বাবাকে কোন অভ্যর্থনা ও আপ্যায়নের খবর নেই।অথচ

বিড়ালের পায়খানা পরিস্কার, বিড়ালকে খাবার খাওয়ানো, গোসল নিয়ে ব্যস্ত। ছেলেটা সপ্তাহে ১-২দিন গোসল করে।সারা দিন ও রাত বাবার খোঁজ খবর নেওয়ার মত সময় ছেলেটার নেই।

বাবা একদিন থেকে মনে কস্ট নিয়ে চলে গেলেন।

(যাদের বাবার টাকার কোন হিসাব নেই,তাদের সন্তানদের এমন দশায়)

ঘটনা ২ঃ মফস্বল শহর থেকে বাইপাস রাস্তা দিয়ে রাজধানীতে যাব সিনজিতে উঠে বসেছি।

হঠাৎ এক যুবতী ও তার মেয়ে দুইটা বিলেতি বিড়াল নিয়ে উঠে বসেছে।কি যে বাঁজে গন্ধ তা শুধু ঐ সময়ের যাত্রীরা বর্ণনা করতে পারবে। মুখে ভাল করে

মাস্ক টাইট করে বাঁধিলাম।দেখতে পেলাম

সিএনজি চলছে একটা বিড়াল যুবতী মেয়ে কোলে নিয়ে চুমো খাচ্ছে। আর একটা বিড়াল দিয়ে পিছন থেকে মেয়েটার শরীর জিহবা দিয়ে চাটাচ্ছে।

পাশের সিটে মেয়েটির মা বসে আছে,মেয়েটি তারা মাকে কিসব খারাপ ভাষায় কথা বলছে তা লিখে ভাবপ্রকাশ করা সম্ভব নয়।

ঘটনা ৩ঃ

পরিচিত মেডিকেল পড়ুয়া একজন বিড়াল প্রেমী শিক্ষার্থী।

তার ধ্যানমগ্ন স্বপ্নে শুধু বিড়ালের কথা।

খেতে,ঘুমাতে, পড়তে সব সময় তাহার স্পর্শে বিড়াল।

তাহার কাছে তার মা-বাবা ভাইবোনের কোন মুল্য নেই।বিড়াল তার সব,সারাটি জীবন বিড়ালের সাথে কাটাতে চায়।আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম বিড়ালের প্রতি এত প্রেম কেন?উওর,বিড়ালের প্রতি প্রচুর মায়া ও ভালবাসা।কোন মানুষ বিশ্বাস করে না। সম্ভব হলে বিড়ালকে বিয়ে করে বাকিটা জীবন পাড়ি দিবে।

অনুটিকাঃ

মা-বাবার টাকায় খেয়ে বড় হয়ে, মা-বাবার কথা না শুনা।মা-বাবার সাথে বেয়াদবি করা।

বিড়ালের পিছনে অবচয় হাজার হাজার টাকা নস্ট করা।

এরাই সমাজের সব চেয়ে বড় অসুস্থ ব্যক্তি ও পিতা মাতার অবাধ্য সন্ত্রান।

ধিক্কার জানাই,ছিঃ

পৃথিবীর তিনভাগের একভাগ মানুষ যেখানে অনাহারে দিন যাবপ করছে,

সেখানে আপনারা কুকুর বিড়ালের পিছনে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেন।সেটা কতটা বোধগম্য?

®ডা.লিখন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top